
রবিবার সকাল থেকেই আরামবাগ মহকুমায় বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন রাজ্যের মুখ্যসচিব।মুখ্যসচিব ছাড়াও সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের একাধিক উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিকরা।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পাশপাশি ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন তিনি।এদিন প্রথমেই পুরশুড়া এলাকায় ক্ষতিগ্রস্থ দের সাথে কথা বলার পর আরামবাগের হরিণখোলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার হরাদিত্য গ্রামে যান মুখ্যসচিব সহ অন্যান্ন আধিকারিকরা সেখানেও বন্যা দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।সেখান থেকে সোজা চলে যান খানাকুলের কিশোরপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা গুলিতে।এখানেই জলের তোড়ে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছিল একাধিক পাকা বাড়ি।তাদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল অস্থায়ী আশ্রয় শিবিরে। সেখানে এলাকার ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রান সামগ্রী, নানান সরঞ্জাম,শুকনো খাবার,ছাত্র ছাত্রী দের বই পত্র তুলে দেন মুখ্য সচিব সহ আধিকারিকেরা।
এই এলাকায় বন্যার কবলে পোড়ে গৃহ হীন হয়ে পরেন শম্পা পাত্র,
পারমিতা লাল,কাশিনাথ বাগ, ঝালাবালা বেরা, রমা রাজ পন্ডিত, পুষ্প মন্ডল,গোবিন্দ পাত্ররা।

বন্যার জলের তোরে বাড়ি গুলো একেবারে ধূলিস্যাৎ হয়ে যায়।এই পরিবারগুলিকে আর্থিক ভাবে সহযোগিতা করা হয় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। প্রত্যেককে এক লক্ষ টাকা করে চেক দেওয়া হয়।তবে বন্যা দুর্গতদের সাথে কথা বলে ও ত্রাণ সামগ্রী দেওয়ার পরে রাজ্যের মুখ্য সচিব সহ আধিকারিকেরা যান খানাকুল ২ নং বিডিও অফিসে। সেখানেও বন্যা দুর্গতদের সাথে কথা বলেন মুখ্যসচিব।
