কৈশোরেই প্রবনতা বেশি,বাড়তে থাকা আত্মহত্যার প্রবণতা ঠেকাতে হুগলি তে শিবির স্বাস্থ্য দপ্তরের।
সুইসাইড প্রিভেনশান সপ্তাহ পালিত হচ্ছে রাজ্যে।১০ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে চলবে ১৮ তারিখ পর্যন্ত।
গত ৮ ই সেপ্টেম্বর জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরে এনিয়ে একটি ওয়ার্কশপ হয়।২০২৪-২৬ চেঞ্জিং ন্যারেটিভ অফ সুইসাইড টপিকের উপর।
তথ্য বলছে,গত বছর আত্মহত্যা করে ৭ লাখ ৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে গোটা বিশ্বে।প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজনের মৃত্যু।
৭৯ শতাংশ পিছিয়ে থাকা দেশে এটা বেশি হয়।
১৫-১৯ বছর বয়সীদের মধ্যে প্রবনতা বেশি।
ভারতবর্ষে ২০২২ সালে ১ লাখ ৭০ হাজার ৯২৪ জনের মৃত্যু মৃত্যু হয়েছে।৪৬৮ জন প্রতিদিন।২০ জনের প্রতি ঘন্টায়।১৮৪ সেকেন্ডে একজন করে আত্মঘাতি হয়।
২০১৫ সালে ছিল ১০.৬ শতাংশ সেটা বর্তমানে ১২.৪ শতাংশ।
শিবিরের মাধ্যমে কিশোর কিশোরীদের সচেতন করা।কথা বলার সুযোগ করে দেওয়া।কেউ কথা বললে তা শোনার লোকেরও প্রয়োজন সেই উপলব্ধি তৈরী করা।
জেলার মানসিক স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে এই সপ্তাহ পালিত হচ্ছে।
প্রতিটি ব্লকের আরকে এস কে(রাষ্ট্রীয় কৈশর সুরক্ষা কার্যক্রম)র কাউন্সিলররা স্কুলে গিয়ে সচেতনতা শিবির করছেন।
কৈশোরে বয়ঃসন্ধিকালে
অনেক ধরনের মিথ মনে আসে যা ভুল তাকে বিনষ্ট করে কৈশোরকে জীবন মুখি করা।তাদের অনুভূতি শোনা,বোঝা,এগিয়ে যেতে সাহায্য করাই এই সপ্তাহ পালনের মধ্যে দিয়ে করা হচ্ছে।
হুগলির পোলবা ব্লকের পাউনান রাধারানী হাই স্কুলে এই কর্মসূচী পালিত হয়।পোলবা গ্রামীণ হাসপাতালের কাউন্সিলর বিদিশা দত্ত এবং আর বি এস কে’র মেডিকেল অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন।
হুগলি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারী মৃগাঙ্ক মৌলি কর জানান,আত্মহত্যার প্রবণতা আছে এমন মানুষদের প্রতিহত করতেই হবে।কারণ এটা এমন একটা ব্যাধি যাতে বহু মানুষের মৃত্যু হয়।অনেকে আছেন যাদের ভেতরেই প্রবণতা আছে তারা এগিয়ে এসে কিছু বলতে চান না।তাদের সঙ্গে কথা বললে প্রতি আহত করা যায়।
এর জন্য জেলা সব হাসপাতালে কাউন্সেলিং এর ব্যবস্থা আছে।কাউন্সিলরদের আমরা প্রশিক্ষণ দিয়েছি।এই সপ্তাহটা আমরা বেশি করে জোর দিই।কিশোর আর প্রৌঢ় যারা তাদের মধ্যে আত্মহত্যার ঝোঁক দেখা যায়।কাউন্সিলিং করলে তাদের সেই ঝোঁক থেকে মুক্তি দেওয়া যায়।সেই কাজটাই করছে স্বাস্থ্য দপ্তর।
পাউনান স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তন্ময় দাস বলেন,পোলবা হাসপাতাল থেকে ডাক্তার বাবু কাউন্সিলররা এসেছেন ছাত্র-ছাত্রীদের সচেতন করার জন্য। আমরা স্কুল থেকে সারা বছরই শিক্ষকরা নানাভাবে সচেতনতা মূলক ব্যবস্থা গ্রহন করে থাকেন। স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এটা খুবই ভালো। আমরা চাই কোন বাচ্চাই যেন ভুল করে কোন সিদ্ধান্ত না নিয়ে ফেলে, আমরা চাই ছাত্ররা সমাজের জন্য দেশের জন্য সর্বোপরি নিজের ভালোটা নিজে বোঝে। আমরা সব রকম সাহায্য করি তাদের। স্বাস্থ্য দপ্তর থেকেও এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়ায় খুবই উপকার হবে।