সিসিটিভি ফুটেজে,সিজ করা জামা কাপড়,স্বাস্থ্য পরীক্ষাতে অপহরন ও নির্যাতনের প্রমান মেলেনি,সাংবাদিক বৈঠক করে হরিপালে নাবালিকার শ্লীলতাহানীর ঘটনায় পুলিশি তদন্তে এখনো পর্যন্ত কি পাওয়া গেছে তার তথ্য তুলে ধরলেন পুলিশ সুপার।
গতকাল সন্ধায় হরিপালে এক বছর পনেরোর নাবালিকাকে অবিন্যস্ত পোশাকে অন্ধকারে অচৈতন্য অবস্থায় পরে থাকতে দেখেন বাসিন্দারা।খবর পেয়ে হরিপাল থানার পুলিশ নাবালিকাকে উদ্ধার করে হরিপাল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়।সেখানে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়।হরিপাল থানার ওসি কৌশিক সরকার নাবালিকার বাড়িতে ফোন করে খবর দেন।নাবালিকার মা জেঠু ও একজন শিক্ষক হাসপাতালে পৌঁছান।পরে থানায় গিয়ে নাবালিকার বয়ান অনুযায়ী এফ আই আর দায়ের করে পুলিশ।
নাবালিকা পুলিশকে জানায়,সিঙ্গুরে স্কুল থেকে এক শিক্ষকের বাড়িতে টিউশন নিতে যায়।সেখান থেকে বাড়ি ফেরার সময় তাকে একটি সাদা গাড়িতে করে চারজন অপহরণ করে।হরিপালে কিভাবে গেল সেটা তার মনে নেই।
সিঙ্গুরে তার বই এর ব্যাগ পরেছিল।সেটি কুড়িয়ে সিঙ্গুর থানায় জমা দেয় দুজন।
পুলিশ সুপার জানান,
BNS এর
৭৫-যৌন হয়রানি
৭৬-আক্রমন বা অবৈধ বলপ্রয়োগ
১২৬(২)-বেআইনি গতিরোধ
১৩৭(২)-অপহরন
১১৫(২)-ইচ্ছাকৃত আঘাত
৩৫১(২)-অপরাধ জনক ভীতি প্রদর্শন
এবং ৮ পকসো আইনে মামলা রুজু হয়।
এরপরই পুলিশ ঘটনার তদন্তে নামে।সিঙ্গুরের যে জায়গা থেকে নাবালিকাকে অপহরন করা হয়েছিল বলে দাবী করে সেই এলাকার সিসিটিভি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।পুলিশ সিঙ্গুর স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজে দেখে স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে নাবালিকা।একটি সাদা চার চাকা গাড়ি করে অপহরন করা হয়েছিল বলে জানিয়েছিল নাবালিকা,সেই গাড়ির কোনো অস্তিত্ব মেলেনি।
হুগলি গ্রামীন পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন বলেন,চারজন তাকে অপহরণ করেছিল বলে জানিয়েছিল নাবালিকা।একজন তার চেনা বলে জানিয়েছিল।যে যুবকের কথা না বাড়িতে জানিয়েছিল তার ছবি দেখিয়ে তাকে চিহ্নিত করা হয়।পরে ওই যুবকের মোবাইল নাম্বার রাগ করে জানা যায় সে ঘটনার সময় ভিন রাজ্যে রয়েছে এমনকি সে এখনো পর্যন্ত রাজ্যের বাইরেই আছে।নাবালিকা ও তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পুলিশের মনে হয়েছিল নাবালিকা যে অভিযোগ করছে সেটা ভালো করে খতিয়ে দেখা দরকার।অভিযোগ খুবই স্পর্শ কারত ছিল তাই সেই ভাবেই তদন্ত চলতে থাকে।
চন্দননগর আদালতে নাবালিকার গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়।চন্দননগর হাসপাতালে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষাও হয়।অভিযোগ গোপন জবানবন্দির মধ্যে অসংগতি আছে বলে জানান পুলিশ সুপার।
ঘটনার ২৪ ঘন্টা পর পুলিশের কাছে যা তথ্য প্রমান এসেছে সে সব জানানো হল।পরে আরো কিছু পাওয়া গেলে তা জানানো হবে বলে জানান পুলিশ সুপার।
