হুগলি:সব জায়গায় টার্গেট পুলিশ এটা কখনই কাম্য নয় যারা সমাজ টাকে সুন্দর করে রেখেছে বললেন কল্যাণ।
এদিন জাঙ্গিপাড়া থানার সহযোগিতায় জাঙ্গিপাড়া ডি এন হাই স্কুলে আয়োজন করা হয় পুলিশ দিবস অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী স্নেহাসিস চক্রবর্তী, ডি এম মুক্তা অর্য,হুগলি গ্রামীন পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন সহ জেলার একাধিক পুলিশ কর্তা ও একাধিক ব্লকের বিধায়করা।
অনুষ্ঠান মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কল্যাণ বলেন বতর্মান পরিস্থিতিতে পুলিশ কে সফট টার্গেট করা হচ্ছে।যা কিছু হবে পুলিশ কে ধর,কিছুদিন আগে কলকাতার রাজ পথে এক পুলিশ অফিসার কে রক্তাক্ত করেছিল একটি রাজনৈতিক দল।
তিনি আরো বলেন ১৪ ই আগস্ট মহিলাদের যে আন্দোলন হয়েছিল সেই আন্দোলন কে সন্মান জানাই আর জি কর কান্ডের প্রতিবাদে মহিলারা যে ভাবে সামিল হয়েছিলেন তা প্রশংসনীয়।এটা রাজনৈতিক থাকলে সমাজের পরিবর্তন হতো।কিন্তু দুটি বিরোধী রাজনৈতিক দল বিজেপি সিপিএম এই আন্দোলন কে চুরি করে নিলো।
আমরা সবাই চাই মৃত্যু দণ্ড হোক।আন্দোলন টা ছিল বিকৃত মনস্ক পুরুষের বিরুদ্ধে।মেয়েদের নিরাপত্তা দিতেই হবে।মেয়েদের নিরাপত্তা দেওয়ার প্রথম দায়িত্ব কার ? মহিলাটির পাশে থাকা পুরুষটির, সে সহপাঠী,,সহ যাত্রী,সহ কর্মী বা বাড়িতে থাকা পুরুষ হতে পারে প্রথম দায়িত্ব তার।
প্রতিদিন দেশে ৯০ টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে যা অত্যন্ত দুঃখের।প্রতিদিন যে যৌন নিগ্রহ বা অত্যাচার হচ্ছে তার পঞ্চাশ শতাংশ হচ্ছে বাড়িতে বা ডোমেস্টিক এরিয়ায়।তাহলে আসল দোষী সমাজের বিকৃত মনস্ক পুরুষ।আন্দোলন টা এদের বিরুদ্ধে হচ্ছিল কিন্তু রাজনৈতিক দল আন্দোলন টা কে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিল।আর টার্গেট করা হলো পুলিশ কে।পুলিশ এখন সফট টার্গেট,পুলিশ কে মারতে না পারলে,পুলিশ কে গুলি করতে না পারলে পুলিশ কে অত্যাচার করতে না পারলে আন্দোলন টা সার্থক হয় নাকি!যে কোনো আন্দোলন কে সার্থক করতে হলে আজকের বাংলায় পুলিশ কে আগে মারতে হবে তবে না আন্দোলন সার্থক হবে অদ্ভুত ব্যাপার।একজন পুলিশের চোখ নষ্ট হয়ে গেছে,একজন মহিলা পুলিশ কর্মীর মাথা ফেটে গেছে।কারা এই আদোলন করছেন যারা ১৪ ই আগস্ট আন্দোলন করেছিলেন তারা কি ভেবেছিলেন পুলিশ মেরে এই ভাবে আন্দোলন করবো।নিশ্চয় চাইনি।
রাজনৈতিক দলের টার্গেট হচ্ছে পুলিশ, যেকোনো আন্দোলনের টার্গেট হচ্ছে পুলিশ।আবার বিচারক দের কাছেও টার্গেট হচ্ছে পুলিশ।সফট ট্যাগেট পুলিশ।
সব জায়গায় টার্গেট পুলিশ এটা কখনই কাম্য নয় যারা সমাজ টাকে সুন্দর করে রেখেছে।
পুলিশের পরিবার নিয়ে কেউ তো কখনো ভাবে না।