পিটিয়ে খুনের অভিযোগে চাঞ্চল্য।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,হাবরার বাসিন্দা পাপ্পু দাস রেলের যন্ত্রাংশ তৈরীর জুপিটার কারখানার সুপারভাইসার ছিলেন।প্রতিদিনের মত সোমবার সকালে কাজে আসেন।শ্রমিকরা জানায় বিশ্বকর্মা পুজোর প্রস্তুতি চলছিল কারখানার ভিতরে।
বিকাল সারে তিনটে নাগাদ কারখানার গেটের বাইরে কিছু লোক সুপারভাইজারকে ধরে মারধোর শুরু করে।রাস্তায় ফেলে লাথি কিল ঘুষি মারা হয়।
কারখানার কয়েকজন শ্রমিক দেখে তাকে বাঁচাতে যান।চন্দন দেব নামে এক শ্রমিককেও বেধরক মারা হয়।আততায়ীরা পালিয়ে গেলে শ্রমিকরাই আহত সুপারভাইজারকে তুলে ব্যান্ডেল ই এস আই হাসপাতালে নিয়ে যায়।চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষনা করেন।খবর পেয়ে হাসপাতালে যায় পুলিশ।শ্রমিকরাও জরো হয়।
কারা মারধোর করেছে তা বলতে পারছেন না শ্রমিকরা।
পুলিশ জানিয়েছে ঘটনা কারখানার বাইরে হয়েছে।কি কারনে কারা এই করল তা দেখা হচ্ছে।প্রাথমিক অনুমান ঠিকা শ্রমিকদের সঙ্গে গন্ডোগোলের জেরে এই ঘটনা হতে পারে।সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অন্যদিকে জুপিটার কারকাখানার গেটের বিপরীত দিকে পুতুল দেবী পাশোয়ানের হোটেল।ঘটনার সময় তার বাবা নন্দলাল মাঝি ছিলেন দোকানে।
পুতুল জানান,তিনি সে সময় দোকানে ছিলেন না।বাবা একাই ছিলেন।পাশের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন সুপারভাইজার।কয়েকজন শ্রমিককে টাকা দেন।আরো টাকা দিতে হবে দাবী করে শ্রমিকরা।তা নিয়ে তর্ক শুরু হয়।দোকান থেকে বেরিয়ে পাশের একটি বিরয়ানীর দোকান ছেরে সেন টি স্টলের সামনে যেতেই শ্রমিকরা তাকে ঘিরে ধরে।ঘটনার সময়কার সিসিটিভি ফুটেজেও দেখা যায় কারখানা গেট থেকে উত্তেজিত কয়েকজন বেরিয়ে আসে।চড়াও হয় সুপারভাইজারের উপর।কিল চর ঘুষি চলতে থাকে।দোকানের সামনে ফেলে মারা হয়।সিসিটিভি ফুটেজেই দেখা যায় ঘটনা দেখে অনেকেই দাঁড়িয়ে পরেন।বাইক সাইকে নিয়ে দাঁড়িয়ে মারধোর দেখলেও কেউ ছাড়াতে এগিয়ে যাননি।এভাবেই কিছুক্ষন চলতে থাকে।পরে কয়েকজন শ্রমিক বেরিয়ে এসে ছাড়াতে গিয়ে আক্রান্ত হন।
পুতুল দেবী জানান,বিশ্বকর্মা পুজোয় শ্রমিকদের খাওয়াবেন বলে ২০ কিলো মাংসের অর্ডার দিয়েছেন সুপারভাইজার।
যারা তাকে তুলে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল সেই সব শ্রমিকরাও জানান সুপারভাইজার বাবু ভালো লোক ছিলেন।