
শনিবার পঞ্চম দিনে পড়েছে জুনিয়র চিকিৎসক দের আন্দোলন।শনিবার দুপুরে চিকিৎসক দের আন্দোলন স্থলে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার।
গত পাঁচ দিন ধরে পাঁচ দফা দাবিতে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে আন্দোলন করছেন জুনিয়ার চিকিৎসকরা।গত বৃহস্পতিবার ৩০ জনের চিকিৎসক প্রতিনিধি দল নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে গিয়েও লাইভ স্ট্রিমিং এর শর্ত না মানায় বৈঠক না করেই ফিরে আসেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দল।
শনিবার দুপুরে জুনিয়ার চিকিৎসক দের আন্দোলন স্থলে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।মুখ্যমন্ত্রী আন্দোলন স্থলে পৌঁছাতেই স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে আন্দোলনের মঞ্চ।স্লোগান ওঠে উই ওয়ান্ট জাস্টিস।তবে আন্দোলনকারীদের শান্ত হওয়ার অনুরোধ জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন আমাকে বলতে দিলে আমি খুশি হব। এর পর তিনি বলতে শুরু করেন-

“আমি আপনাদের আন্দোলনকে সমর্থন করি। আমি ছাত্র আন্দোলন থেকে উঠে আসা লোক।আমি অনেক চিন্তা করি, চিন্তা করেই এসেছি।
আমি পাঁচ মিনিট সময় নেব। আমাকে বলতে দিন। আমি অনেক ক্ষণ ধরে অপেক্ষা করছি। আমার নিরাপত্তার কথা না ভেবেই নিজে ছুটে এসেছি। কারণ আমি আপনাদের আন্দোলনকে কুর্ণিশ জানাই। আমি নিজে অনেক সাফার করেছি। আমার পোস্ট টা বড় কথা নয়। মানুষের পোস্টটাই বড় কথা।
কাল সারারাত ঘুমোতে পারিনি। আমারও কষ্ট হয়েছে। আপনারা যেভাবে বসে আছেন, তাতে আমার মানসিকভাবে কষ্ট হচ্ছে,৩৩-৩৪ দিন আমিও রাতের পর রাত ঘুমোইনি। আপনারা যখন রাস্তায় থাকেন আমাকেও পাহারাদার হিসেবে জেগে থাকতে হয়।

তিনি আরো বলেন আপনারা কাজে যোগ দিন,আমি আপনাদের দাবিগুলো দেখব।
আমি একা সরকার চালাই না,আমি অফিসারদের সঙ্গে কথা বলব। আমাকে একটু সময় দিন। আপনাদের প্রতি আমি কোনও অবিচার করব না আপনারা কাজে ফিরুন,অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে।
আন্দলন স্থল থেকেই আরজি কর সহ সব কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দেওয়ার কথা ঘোষণা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন আমি সব হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতিতে অধ্যক্ষদের চেয়ারম্যান করব। জুনিয়র ডাক্তার, সিনিয়র ডাক্তার, নার্স ও পুলিশ থাকবে তাতে।
