
আর জি কর কাণ্ডের পর নেড়েচেড়ে বসেছে প্রশাসন।সাধারণ মানুষ প্রতিবাদের ঝড় তুলেছে।তিলোতমার সুবিচারের জন্য রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু করেছে।রাজ্য সরকারের তরফে রাত্রি সাথী ও কঠর আইন আনার দাবি জানান হয়েছে কেন্দ্রকে।এই আন্দোলন ও প্রতিবাদের পর মহিলাদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে সারা দেশে।সেই কথা মাথা রেখেই কলকাতার একটি সংস্থা এগিয়ে এসেছে।তিন ইঞ্জিনিয়ার ইন্দ্রনীল দাস,শঙ্খদীপ ঘোষ ও অয়ন বাগ। একটি ডিভাইস ও অ্যাপ তৈরি করেছে তারা।যার মাধ্যমে রাস্তা ঘাটে বা কর্মক্ষেত্রে মহিলারা বিপদের আঁচ পেলেই এই ডিভাইসের সুযোগ নিতে পারে।এই ডিভাইসে থাকছে একটি চাবির রিং যাতে থাকবে একটি সুইচ।বিপদের সময় সেটা ব্যবহার করলে খুব সহজেই আত্মীয় ও পুলিশকে সজাগ করতে সক্ষম হবে।চাবি রিং য়ের সুইচ টিপলে বা অ্যাপ টাচ করলেই বিপদের বাজার লাইট ও ঘন্টা বেজে উঠবে।এতেই পরিবার সজাগ হতে পারবে।সেই সঙ্গে মোবাইলের সামনের পিছনের ক্যামেরা ছবি তুলে সয়ংক্রিয় ভাবে চলে যাবে সার্ভারে।তার সঙ্গে ঘটনার 19 সেকেন্ডের একটি অডিও রেকর্ড হবে ।অডিও ও ছবি সুরক্ষিত ভাবে সেভ হয়ে যাবে তাদের সার্ভারে।এছাড়াও পাঁচটি মোবাইল নম্বরে এই তথ্য চলে চলে যাবে ।লাইভ লোকেশন পাবে এর মধ্যেই।আপের মাধ্যমে আরও একটি সুবিধা আছে ।মোবাইল ঝাঁকুনি দিলে বা ছিনতাই করতে গেলে একই ভাবে তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ হয়ে যাবে।মহিলাদের সুরক্ষার জন্যই এই চিন্তাভাবনা তাদের সংস্থার।যদি এই অ্যাপ ও ডিভাইসটি কিনতে গেলে ন্যূনতম 3 হাজার টাকা দিতে হবে।

তাদের মধ্যে এক ইঞ্জিনিয়ার ইন্দ্রনীল দাস বলেন আমরা নারী সুরক্ষা এবং জন্য সিকিউরিটি অ্যাপ বানিয়েছি।এখানে দুটি ডিভাইস রয়েছে ।একটি চাবির রিং ও অন্যটি স্মার্ট সিকিউরিটি বাল্ব ।এই দুটি কাজ করবে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ।আমাদের সিকিউরিটি অ্যাপের লগইন করে রাখতে হবে । এই অ্যাপটি কাজ করবে দুটি ভাবে।যদি কোন মহিলা কোন রকম বিপদ জনক পরিস্থিতিতে পরে।দুষ্কৃতীরা যদি মোবাইল কেড়ে নেয় সে ক্ষেত্রে চাবির রিং এর সুইচ টিপে পরিবার ও পুলিশের কাছে ইনফরমেশন পাঠানো সম্ভব হবে এই ডিভাইসের মাধ্যমে।এছাড়াও বাড়িতে একটি স্মার্ট সিকিউরিটি বাজার বাল্ব থাকবে।বিপদ এলেই লাইট ও ঘন্টা বেজে উঠবে। পরিবার বুঝতে পারবে আপনি কোন বিপদে পড়েছেন।কোন দুর্ঘটনার সময় দুষ্কৃতীরা আপনার মোবাইলটা কেড়ে নিলে সে ক্ষেত্রেও মোবাইলের ধাক্কাধাক্কির সময় সামনে এবং পিছনের ক্যামেরায় দিয়ে দুষ্কৃতীদের ছবি তুলে নেওয়া সম্ভব হবে। এছাড়াও আপনার লাইভ লোকেশন ও 19 সেকেন্ডের একটি অডিও রেকর্ড হবে ।বিপদজনক পরিস্থিতিতে ছবি ও অডিও সংরক্ষিত থাকবে আমাদের সার্ভারে ।যা কখনোই মুছে ফেলা সম্ভব নয়। সুতরাং মহিলারা বিপদে পড়লে তাদের কাছে তথ্যপ্রমাণও থাকছে।এই অ্যাপ ও ডিভাইসের মাধ্যমে আমরা সরকার ও সাধারণ মানুষের কাছে অনুরোধ করব এই ডিভাইসটি ব্যবহার করুন। তাহলে আর জি কর কাণ্ড বা সারা দেশের নির্যাতনের ঘটনাগুলি প্রকৃত বিচার পেতে সাহায্য করবে।দেশে তথ্য প্রমাণের অভাবে হাজার হাজার নির্যাতিতা বিচার পাচ্ছে না।এই অ্যাপ ও ওয়েবসাইট বিচারের জন্য প্রমান জোগাড় করবে।
