দুর্ঘটনার পর একের পর এক হাসপাতাল ঘুরে চিকিৎসা পরিষেবা না পেয়ে মৃত্যু এক ব্যক্তির।চিকিৎসক দের কর্মবিরতির কারণেই মৃত্যু বলে দাবি পরিবারের,মৃতের পরিবারে এমনই একটি বিবৃতি X হ্যান্ডেলে পোস্ট তৃণমূলের।
তৃণমূলের X হ্যান্ডেলে পোস্ট করা ভিডিও তে বলা হচ্ছে দুর্ঘটনার পর প্রথমে পুলিশ সদানন্দ পাল কে উদ্ধার করে হরিপাল গ্রামীন হাসপাতালে ভর্তি করে সেখান থেকে চুঁচরা সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। চুঁচরা থেকে কল্যাণী এমসে রেফার করা হলেও পরিবারের দাবি কল্যাণী এমস সন্মধ্যে জানা না থাকায় তারা সেখানে গিয়েও ভর্তি করাতে পারেননি এর পর কলকাতা মেডিকেল কলেজে নিয়ে যান সেখানে চিকিৎসক না থাকার কারণে ভর্তি করাতে পারেননি ।চিকিৎসক দের কর্মবিরতির কারণেই মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেন পরিবারের সদস্যরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে গত ১৮ ই আগস্ট হরিপাল থানার নালিকুল সিনেমাতলা এলাকায় সদানন্দ পাল (৬৩) নামে এক ব্যক্তিকে সজোরে ধাক্কা মারে এক বাইক আরোহী। মাথায় চোট পান সদানন্দ পাল।গত ২৯ সে আগস্ট বারাসতের বেঙ্গল নিউরো হাসপাতালে মৃত্যু হয় সদানন্দ পালের।
মৃত সদানন্দ পালের পুত্র সৌমেন পাল বলেন গত ১৮ ই সেপ্টেম্বর বাইক দুর্ঘটনায় আহত হয় বাবা।প্রথমে হরিপাল গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।সেখান থেকে চুঁচরায় রেফার করা হয়।চুঁচরা হাসপাতালে সিটি স্ক্যান করার পর কল্যাণী এমসে রেফার করা হয়।কল্যাণী এমসে নিউরো সার্জারি বিভাগ না থাকার কারণে সেখানেও ভর্তি করা যায়নি।কল্যাণী তে আরো একটি সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেও নিউরো সার্জারি না হওয়ার কারণে ভর্তি নেওয়া হয়নি।এর পর কলকাতা মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেও সেদিন নিউরো সার্জারি না হওয়ার কারনে ভর্তি করা যায়নি।ততক্ষনে বাবার অবস্থা খারাপ হতে শুরু করে।এম্বুলেন্স চালকের কথায় বারাসাত বেঙ্গল নিউরো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।ওখানে অপারেশন করার পর ১১ দিন ধরে আই সি ইউ তে ভর্তি রাখা হয়।প্রায় তিন লক্ষ টাকা খরচ হয়ে যায় এবং গত ২৯ শে আগস্ট বাবার মৃত্যু হয়।
পাঁচটা সরকারি হাসপাতাল ঘুরেও কোনো চিকিৎসা পরিষেবা মেলেনি, সেটা কিছুটা আন্দোলনের কারণে হতে পারে।আন্দোলনের দরকার আছে তবে চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে আন্দোলন হোক।
